অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গোটা ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদুল আজহা উদযাপন করবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তার আগে বেচাকেনায় জমে উঠেছে কলকাতার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। এসব হাটে শেষ বেলায় অনেকটা পানির দরে বিক্রি হচ্ছে গরু।
কলকাতা পৌরসভার কড়া নির্দেশ, এবার রাজপথে কোনো ধরনের পশু বেচাকেনা করা যাবে না। এ কারণে কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে নগরী থেকে একটু দূরে বসেছে অস্থায়ী পশুর হাটগুলো।
মূলত ঈদুল আজহা উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে অস্থায়ী হাট চলায় সড়কে প্রচুর মলমূত্র-আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে। ফলে নোংরা রাজপথ পরিষ্কার করতে বেগ পেতে হয় সাফাইকর্মীদের। সে কারণেই কলকাতা পৌরসভার নির্দেশে শহর থেকে কিছুটা দূরে বসেছে অস্থায়ী হাটগুলো।
কলকাতায় রাজারহাট ছাড়িয়ে পলিরহাট পর্যন্ত বসেছে অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট। এই হাটে দেশি গরু বিক্রি হচ্ছে সাধারণত ১৬ থেকে ২০ হাজার রুপির মধ্যে। একটু দর কষাকষি করলে হয়তো দামটা আরও কমিয়ে আনতে পারবেন ক্রেতারা।
তবে এ হাটে ২৫ কেজি বা তার একটু বেশি ওজনের ছাগল মিলছে ১৫ থেকে ২০ হাজার রুপিতে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, গরুর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ছাগল।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বেলিয়াঘাটা ব্রিজের পাশে বসেছে আরেকটি অস্থায়ী হাট। এখানে ভিনরাজ্যের গরুর তুলনায় দেশি গরুর দাম অনেকটাই কম। আকারে বড় ভিনরাজ্যের গরুগুলো দুই থেকে পাঁচ লাখ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
কলকাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের যেসব জেলায় পশুর হাট বসেছে, সেখানেও ধরা পড়েছে একই ছবি।
গরু কিনতে আসা শাকিল আবেদীন জানান, গরুর দাম এবার অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে। তাই ভালো দেশি গরুই কিনে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ওখানকার মাদ্রাসায় প্রত্যেক বছর আমি গরু কোরবানি দেই। এবারও সেটাই করবো।
তবে একটু উচ্চবিত্ত মুসলিম পরিবারগুলোর কাছে বেশি পছন্দ উন্নত জাতের দুম্বা ও খাসি। একটি ভালো ওজনদার দুম্বা ৭০ থেকে ৮০ হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় যেসব স্থানে ঈদুল আজহার উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাট বসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গার্ডেনরিচ, জাকারিয়া স্ট্রিট, মেটিয়াব্রুজ, রাজাবাজর, মতিঝিল, নারিকেল বাগান প্রভৃতি।
এসব এলাকায় যেভাবে ভিনরাজ্যের গরু, ছাগল, দুম্বা দেখা যেতো, এবার তা যেন উধাও হয়ে গেছে। এবার এসব পশু কলকাতা শহরের বাইরে বসা অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।
অস্থায়ী হাটের পশু বিক্রেতা মোহম্মদ মোজহার মোল্লা জানান, এবার বাজারে দেশি গরুর সংখ্যা বেশি। তাই দামও কম। তবে এই হাটগুলোতে খাসির দাম একটু চড়া।
প্রত্যেক বছর কলকাতায় শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয় কোরবানির ঈদ। পুলিশ প্রশাসন আশা করছে, এবারও তেমনটি থাকবে। এ কারণে কলকাতার রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply